আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান অবশেষে ক্ষমা চাইলেন। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদ হাই কোর্টে শুনানি শুরুর সময় ইমরান খান ক্ষমা চান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন
ইমরানের আইনজীবী বলেন, এক ধাপ পিছিয়ে আসায় এ যাত্রায় তিনি রাজনীতি থেকে ছিটকে যাওয়া এড়াতে পারলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী ফয়জল চোধুরী জানান, আদালত ইমরানকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছে।
ইমরান খান বলেছেন, আমি যদি কোনো সীমা অতিক্রম করে থাকি তাহলে ক্ষমাপ্রার্থী। এমন আর আবার হবে না। আমি কখনোই আদালতের অনুভুতিকে আঘাত করতে চাইনি। এই সময় তিনি আদালতকে অনুরোধ করেন তাকে যেন বিচারক জবা চৌধুরীর কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের নতুন ডিজি খুরশীদ হোসেন
তবে এইদিন আইএইচসি-এর প্রধান বিচারক আতহার মিনাল্লাহ বলেন, আজকে আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেবেন না। ইমরান খান তার বক্তবের একটি এফিডেভিট আদালতে জমা দেন। এই নিয়ে মিনাল্লাহ বলেছেন, আদালত আপনার বিবৃতি মূল্যায়ন করে। আপনি আপনার বিবৃতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অগাস্ট সহকর্মী শাহবাজ গিলকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন চালানো হয়েছে এই অভিযোগে এক সমাবেশের আয়োজন করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি শাজবাজের ওপর নির্যাতনের জন্য ইসলামাবাদ ইনস্পেক্টর-জেনারেল এবং ডেপুটি ইনস্পেক্টর-জেনারেলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। হুঁশিয়ারি দেন এক বিচারককে। এরপরেই ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়। যদি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতেন, তাহলে ইমরানকে রাজনীতি থেকে নির্বাচন নিতে হত পাক আইন মোতাবেক। ক্ষমা চাইতে রাজি হওয়ায় তিনি এই যাত্রায় রক্ষা পেলেন।
সান নিউজ/কেএমএল