আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সারিতে হিজাব আইন লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশের হাতে আটক এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে হিজাব পুড়িয়ে নারীদের বিক্ষোভ করেছে নারীরা। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে অন্তত ১৫টি শহরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বিএনপি
অনলাইনে তেহরানের কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে উদ্দেশ করে নারীরা তাদের হিজাব খুলে স্লোগান দিচ্ছেন, স্বৈরশাসক মুর্দাবাদ, বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, হিজাব পরতে বাধ্য করা যাবে না।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বিবিসির কাছে কিছু ছবি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন, দাঙ্গা পুলিশ তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। এ সময় পুলিশ ক্রমাগতভাবে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছিল। আমাদের চোখ জ্বলে যাচ্ছিল। আমরা পালিয়ে যাচ্ছিলাম, পুলিশ তখন আমাদের ঘিরে ফেলে পেটায়। তারা বলে আমি যৌনকর্মী, শরীর বিক্রির জন্য আমি রাস্তায় নেমেছি।
বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
মঙ্গলবার তেহরানের গভর্নর এক টুইটে লিখেছেন অস্থিরতা তৈরির জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করা হচ্ছে। আর ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, আমিনির মৃত্যুকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর হিজাব এবং নৈতিকতা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ইরানে এ পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে অন্তত ১৫টি শহরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল