সান নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা থেকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযোগ’ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র
দুইজন পুলিশ অফিসার ও নারী বিচারককে ২০ আগস্ট একটি র্যা লিতে মন্তব্য করেন ইমরান খান।
নিজ দলের সদস্য শাহবাজ গিলকে জেলে পাঠানোয় ইমরান খান ইসলামাবাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ও নারী বিচারক জেবা চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন ‘তোমাদের ছেড়ে দেব না!’এরপরই ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।
কিন্তু এ মামলা থেকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন ইমরান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সুদিন!
কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইমরান খান যেসব মন্তব্য করেছেন সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় পরে না। তবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটি থাকবে। এখন এটি সাধারণ মামলা হিসেবে পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে।
১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৬ সালে রাজনীতির ময়দানে আসেন ইমরান খান। দুর্নীতি বিরোধী স্লোগানে ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পরের বছর ১৯৯৭ সালে তিনি নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালেও দুটিতেই হেরে যান। তবুও থেমে যান নি তিনি। ২০০২ সালে নির্বাচনে জয়ী হন ইমরান খান।
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ তৎকালীন সেনা প্রধানের পদে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন। ইমরান খান ওই নির্বাচনের বিরোধিতা করে ওই বছরের ২ অক্টোবর ৮৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে পদত্যাগ করেন। সে বারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করে। ইমরান খানকে গৃহবন্দী করা হয়। ওইসময় তিনি কিছুদিন হাজতবাসও করার পর মুক্তি পান।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের ১০তম নির্বাচনে তার দল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আসন জেতে। আর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১১ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তার দল আসন সংখ্যার বিচারে সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
সান নিউজ/এনকে