সান নিউজ ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশ আস্তে আস্তে চীনের দিকে ঝুঁকছে।
আরও পড়ুন : যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রাখছেন এরদোগান
কিন্তু আরব ব্যরোমিটার বলছে ভিন্ন কথা। তাদের তথ্যানুযায়ী এ অঞ্চলের সাথে চীনের অর্থনৈতিক সখ্যতা বিগত গত কয়েক বছর ধরেই কমছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নতুন করে এ দিকটি তুলে ধরেছে মিডিল ইস্ট ইনিস্টিটিউটে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিভিত্তিক এক গবেষণাপত্র।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ৯ টি দেশের মধ্যে ফিলিস্তিন অধিকৃত অঞ্চলের বিষয়ে এক জরিপে চীনের পক্ষে সর্বনিম্ন ৪৯ শতাংশ অনুকূলতা রয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনুকূলতা সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু দেখতে চায় ভারত
বিশ্বের ক্ষমতাধর প্রভাবশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রয়েছে মরক্কো, সুদান, মৌরতানিয়া ও জর্ডান।
জরিপে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের জন্য অর্থনৈতিক বড় হুমকি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিগত ৪০ বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষেরা চীনের দিকে ঝুঁকছে। সেটা ইনকামের দিক দিয়ে হলেও বলে জানিয়েছেন আরব ব্যরোমিটারের গবেষণা প্রকল্প পরিচালক মাইকেল রবিনস।
আরও পড়ুন : রানির স্মৃতি উজ্জ্বল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
কিন্তু মার্কিন রাজনৈতিক আদর্শ এসব দেশে তেমন জনপ্রিয় নয়। কেন না যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক রয়েছে, যা এ অঞ্চলের পক্ষে নয়।
চীন বিগত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক কলকাঠির মূলশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বেইজিং থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অস্ত্র ক্রয় করায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ওপর রাজনৈতিক নির্ভরতা কমেছে।
আরও পড়ুন : বন্ধ হচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা
উপসাগরীয় এনার্জির অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা চীন। যেখানে তেল সমৃদ্ধ এ অঞ্চল ফাইভ জি ও নজরদারি প্রযুক্তির জন্যও বেইজিংমুখী হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ আরব অমিরাত ও সৌদি আরব চীনের বিশ্বব্যাপী নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সড়ক বলয়ের তালিকায় সেরা তিনে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে মিডিল ইস্ট আই।
সান নিউজ/এইচএন