সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এরদোগান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা
তিনি বলেন, এরদোগান সর্বদা জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদিও জেলেনস্কি এ সময় সমরকন্দে তা করেননি। এভাবেই তুরস্কের নেতা সংঘাত থামাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরকন্দে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রশংসা করেন পুতিন। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে শস্য সংক্রান্ত চুক্তিকে সুবিধাজনক করায় তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান পুতিন। ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু দেখতে চায় ভারত
ধন্যবাদের কারণ হিসেবে পুতিন বলেন, যুদ্ধের ওই সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত ছিলেন না। এরদোগান তাকে উদ্যোগী করেছেন।
খবরে বলা হয়, সাংহাই কো-অপরাশেন সামিট চলার সময় তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার পার্শ্ব রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন পুতিন।
এদিকে ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পুতিন আশা করছেন ইউক্রেনের খাদ্যশস্য দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠানো হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের বন্দর দিয়ে রাশিয়ার খাদ্যশস্যের চালান পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক চায় রাশিয়ার পণ্য রপ্কানির প্রক্রিয়া আবার শুরু হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনের রপ্তানি চুক্তিও প্রক্রিয়াধীন।
তার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর চাপ প্রয়োগ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাশিয়ার সার রপ্তানির ওপর থেকে অবরোধ উঠানোর জন্য পুতিন জাতিসংঘকে আহ্বান জানান। পুতিন বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনামূল্যে রাশিয়া তিন লাখ টন সার দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ৫ সিরীয় সেনা নিহত
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি।
৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলে ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের দাবি, ক্রেমলিনের সেনারা পিছু হটছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বেড়াজালকে ভেঙে ফেলেছে তারা।
সান নিউজ/এনকে