আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাজধানীর দক্ষিণে অন্যান্য অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে সিরিয়ার পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুমব্রু সীমান্তে ‘মাইন’ বিস্ফোরণে আহত ১
অবশ্য সিরিয়ায় এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য সামনে এনেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের এই হামলাটিকে বাধা দিয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সঙ্গে নেই জাতীয় পার্টি
অবশ্য ইসরায়েলি এই হামলার কারণে দামেস্ক বিমানবন্দরের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েল অবশ্য খুব কমই সিরিয়ায় এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করে থাকে।
আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়া ও লেবাননে হিজবুল্লাহসহ মিত্রদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য তেহরানের ক্রমবর্ধমান বিমান সরবরাহ লাইনের ব্যবহার ব্যাহত করতে ইসরাইল সিরিয়ার বিমানবন্দরগুলোতে হামলা জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে
স্থলপথে সরঞ্জাম স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর তেহরান সিরিয়ায় তার বাহিনী এবং মিত্র যোদ্ধাদের সামরিক সরঞ্জাম বহনের আরও নির্ভরযোগ্য উপায় হিসাবে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের কৌশল গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারি অবস্থানের পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল