সান নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ছয় মাসের অধিক সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ২৪ আগস্ট দেশটির স্বাধীনতা দিবসের সময় নিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের চাপলিন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভ।
আরও পড়ুন : রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় বাড়ল
কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের চাপলিন শহরের একটি ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ জন মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জনান তিনি।
এদিকে জেলেনস্কির সহকারী কিরিলো টাইমোশেনকো বলেন, রাশিয়ান বাহিনী দুবার ওই শহরে হামলা চালায়। প্রথম হামলায় একটি বালক নিহত হয়।
আরও পড়ুন : থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
ক্ষেপণাস্ত্রটি তার বাড়িতে আঘাত হেনেছিল। আর দ্বিতীয় হামলায় একটি ট্রেনের পাঁচটি বগিতে আগুন ধরে গেলে ২১ জন মারা যায়।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাশিয়া বরাবর বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্ব ব্যাংক
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এক টেলিভিশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে এক "বিশেষ সামরিক অভিযান" শুরু করার ঘোষণা দেন। এরপরই দেশটির রাজধানী কিয়েভ নগরীজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠলো। এরপর থেকেই চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
এদিকে সেসময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিলেন, "কেউ যদি আমাদের ভূমি, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের জীবন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে- আমরা নিজেরাই তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।"
সান নিউজ/এইচএন