আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে ব্রিটিশ সরকারের বিপক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে ব্রিটেনে ফেরার অধিকার আদায় করে নিলেন আইএস বধূ শামীমা বেগম। দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারকে এখন শামীমাকে সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে লন্ডনের আদালতে হাজির করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) লন্ডনের আপিল আদালত এক রায়ে জানান, সিরিয়ায় শরণার্থী শিবির থেকে নিজের মামলা লড়তে পারবেন না শামীমা। যার ফলে তিনি ন্যায্য শুনানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিজের নাগরিকত্ব রক্ষা নিয়ে আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সরকার ইতোপূর্বে একাধিকবার তাকে সিরিয়া থেকে দেশে আনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেয়া তিন স্কুলগামী মেয়েদের একজন ২০ বছরের শামীমা। ওই সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর।
গত বছর একটি শরণার্থী শিবিরে সন্ধান পাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে।
শামীমার আইনজীবী ড্যানিয়েল ফারনার বলেন, নিজের ঘটনা তুলে ধরার কোনো নিরপেক্ষ সুযোগ পায়নি শামীমা। ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থাকে মোকাবিলায় ভীত নয় সে। কিন্তু তাকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ না দিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা কোনো ন্যায়বিচার নয়, এটি বিপরীত।
শামীমা দাবি করে আসছেন, সরকার কর্তৃক তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তটি অবৈধ। কারণ, এর ফলে সে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে কেবল কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা যায়।
গত মাসে আপিল আদালতের শুনানিতে শামীমার আইনজীবী যুক্তি তুলে ধরে বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কার্যকরভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারছে না তার মক্কেল।
সান নিউজ/সালি