সান নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালেই নিজেদের রপ্তানিযোগ্য গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি জানিয়েছে, প্রতি এক হাজার ঘন মিটার গ্যাসের গড় মূল্য বেড়ে ৭৩০ ডলারে দাঁড়াতে পারে। এদিকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি কমিয়েছে পুতিন প্রশাসন। বুধবার (১৭ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আদালতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!
ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। এরপর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া গ্যাসের দাম রাশিয়ার মুদ্রায় পরিশোধ করতে অস্বীকার করায় ইউরোপের বেশ কিছু দেশে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন পুতিন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে গ্যাসের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রণালয় পূর্বাভাসে জানিয়েছে, গ্যাজপ্রম দ্বারা পাইপলাইনে গ্যাস রপ্তানি এই বছর কমে ১৭০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ঘনমিটারে দাঁড়াবে। যদিও মে মাসে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ১৮৫ বিলিয়ন ঘন মিটার। ২০২১ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে ২০৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ঘন মিটার গ্যাস রপ্তানি করা হয়।
অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ফের জ্বালানি তেল আমদানি শুরু করেছে জাপান। দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাই থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ রাখে জাপান। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা ছিল এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে জাপানও রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে
জুলাই মাসে জাপান কী পরিমাণ রাশিয়ান তেল আমদানি করেছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি মন্ত্রণালয়টি। তবে বলা হয়, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৫ দশমিক ৪ শতাংশ কম জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে। তাছাড়া এলএনজি আমদানি কমেছে ২০২১ সালের জুলাইয়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ। পাশাপাশি কয়লার আমদানি কমেছে ৪০ দশমিক এক শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে