সান নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো ভারতের কর্ণাটকের একটি আদালত। সেখানে সবার সামনে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করলেন স্বামী। শনিবার (১৩ আগস্ট) এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
রোববার (১৪ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
কর্ণাটক পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী শিবকুমার ও ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। দু’পক্ষের আইনজীবীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। আর ঠিক সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে।
শুনানির পর আদালতের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন চিত্রা। সেই সময় তার পিছু নেন শিবকুমার। হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে সোজা কোপ বসান স্ত্রীর গলায়। চিত্রার আর্ত চিৎকারে দৌড়ে যান সবাই। এমনকী ওই যুবক নিজের শিশুর দিকেও এগিয়েছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত লোকজনদের বাধায় সুরক্ষিত থাকে শিশুটি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
রক্তাক্ত অবস্থায় চিত্রাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, চিত্রার উভয় ধমনী কেটে গিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। শনিবার শুনানিতে আদালত পুরো পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন প্রত্যাহার করার পরামর্শ দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে শিবকুমারকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে