আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়। কিন্তু বর্তমানে তেলের দাম কমে ১০০ ডলারের নিচে চলে এসেছে। পাকিস্তান সরকার এমন পরিস্থিতিতে পেট্রলিয়াম পণ্যের দাম কমাতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে পাচার রোধে তেলের দাম বৃদ্ধি
জানা গেছে, ১৬ আগস্টের মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি ঘোষণা দিতে পারে দেশটি।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (ওজিআরএ) একটি নতুন সারাংশ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের কাছে মূল্য কমানোর প্রস্তাব করবে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন থেকে গম রফতানি শুরু
বিষয়টি সম্পর্কে সূত্রগুলো জানিয়েছে, সরকার পেট্রোলিয়ামের ওপর শুল্ক ও অন্যান্য কর হ্রাসের মাধ্যমে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে পারে।
জানা যায়, পেট্রলের দাম কমতে পারে ১২ রুপি ও ডিজেলের দাম কমতে পারে ১৫ রুপি।
ওজিআরএ শনিবার (১৩ আগস্ট) নতুন মূল্য নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠালে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সোমবার (১৫ আগস্ট) নতুন দর ঘোষণা করা হবে।
পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রলের মূল্য ২২৭ দশমিক ১৯ পাকিস্তানি রুপি, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম প্রায় ২৪৫ রুপি ও কেরোসিনের দাম ২০১ রুপির বেশি।
আরও পড়ুন : চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
এদিকে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে পৌঁছেছে। ফলে অতিরিক্ত ১২০ কোটি ডলারের পাশাপাশি আরও অর্থ ছাড় পাবে দেশটি। এ চুক্তিকে পাকিস্তানের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নানা ইস্যুতে আলোচিত-সমালোচিত পাকিস্তান আইএমএফের ফান্ডের কারণে খেলাপি থেকে বাঁচতে পারবে। তাছাড়া অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশ থেকেও ঋণ পেতে পারে দেশটি।
আগামী এক বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ ও আমদানি ব্যয় মেটাতে পাকিস্তানের প্রয়োজন চার হাজার কোটি ডলারের বেশি।
সান নিউজ/এইচএন