সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেনে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নয় বলে জানিয়েছে মস্কো। আরটি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ সের্গেই কিরিয়েঙ্কো মস্কোয় তরুণ রাজনীতিবিদদের এক সমাবেশে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যাটোর পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে বিক্রি করে দিয়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও কিয়েভকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও জ্বালানি সরবরাহ করে যাচ্ছে। রাশিয়া বারবার বলে যাচ্ছে যে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সহযোগিতার কারণে এ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। রাশিয়া পশ্চিমাদের সরবরাহ করা সমরাস্ত্রের ভাণ্ডারে হামলা চালানোকে তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার বলেও ঘোষণা করেছে ন্যাটো।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজের ভাড়া বাড়ল
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন কিয়েভের প্রয়োজন অনুযায়ী ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করে যাবে, কিন্তু ন্যাটো দেশটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনোরকম ঝামেলায় জড়াবে না।
এ সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্টের ডেপুটি প্রধান কিরিয়েঙ্কো আরও বলেন, ইউক্রেনে যতদিন পশ্চিমাদের স্বার্থ থাকবে ততদিন তারা দেশটির জনগণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে থাকবে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ন্যাটো জোট ইউক্রেনের জনগণকে দিয়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ইউক্রেনের শেষ নাগরিকটি বেঁচে থাকা পর্যন্ত এই যুদ্ধ চালিয়ে নেবে ন্যাটো।
আরও পড়ুন: বোমা হামলায় তালেবানের শীর্ষ নেতা নিহত
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে