সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধে প্রায় ৪০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দুপক্ষেরই বহু সেনা হতাহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রদীপের ২০, স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড
এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এই সংখ্যা (রুশ সেনা নিহত) এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার। সংঘাত শুরুর পর থেকে রুশ সেনারা বহু বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত ও পঙ্গু হয়ে পড়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫৮ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৬৮৪ জনের বেশি শিশু।
ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গোলাবারুদের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়।
ইউক্রেনে প্রায় পাঁচ মাস ধরে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করতে ও পশ্চিমাদের দ্বারা উস্কে দেওয়া রুশ-বিরোধী জাতীয়তাবাদ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করছে মস্কো। কিয়েভ ও পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়া বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধ শুরু করেছে।
অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে হাজার হাজার ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। শত্রুপক্ষের অবস্থান জানতে, ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে এবং শত্রুপক্ষের দিকে কামান দাগার জন্য নিশানা ঠিক করতে ড্রোন কাজে লাগানো হচ্ছে। এই যুদ্ধে সামরিক ড্রোন যেমন ব্যবহৃত হচ্ছে, তেমনি আবার বেসামরিক ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুবাহর মামলায় খালাস ইলিয়াস
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে