আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে দেশটির লুজন দ্বীপে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি রাজধানী ম্যানিলায়ও তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের পরে শহরের মেট্রো রেল ব্যবস্থা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের মা হচ্ছেন রানী!
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, বুধবার ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি (৬ মাইল)। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানী ম্যানিলাসহ অনেক এলাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আবরা প্রদেশের ডোলোরেস শহরের পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১১ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে। ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় ইলোকোস সুর প্রদেশের কংগ্রেসম্যান এরিক সিংসন ডিজেডএমএম রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, ভূমিকম্পটি তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে আধুনিক করতে চাই
তিনি আরও বলেন, ‘ভূমিকম্পটি ৩০ সেকেন্ড বা তার বেশি স্থায়ী হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম আমার বাড়িটি হয়তো ভেঙে পড়বে। এখন, আমরা মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি.... এই মুহূর্তে আফটারশক (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) হচ্ছে তাই আমরা আমাদের বাড়ির বাইরে আছি।’
রয়টার্স বলছে, এছাড়া ভূমিকম্পের পর রাজধানীর সিনেট ভবনটিও খালি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গণমাধ্যম।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় সিসমোলজি সংস্থার পরিচালক রেনাটো সলিডাম ডিজেডএমএম রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, ভূমিকম্পটির কারণে আবরা প্রদেশে ক্ষতি হতে পারে, তবে ম্যানিলায় ক্ষয়ক্ষতি দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকা সফর বাতিল করেছেন হিনা রব্বানী
তিনি বলেন, ‘রাজধানী অঞ্চলে এটি ধ্বংসাত্মক ছিল না। আমি মনে করি, এটি কাঠামোর ওপর প্রভাব ফেলবে না তবে। এমআরটির (মেট্রো রেল) মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো পরিদর্শন করা ভালো।’
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। দেশটি ভূতাত্ত্বিকভাবে ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চল ‘প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারে’ রয়েছে যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে বিস্তৃত।
সান নিউজ/কেএমএল