আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে রাশিয়া। রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় জনগণ ভবিষ্যতে একসঙ্গে বসবাস করবে।
আরও পড়ুন: ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন সাকিব
সোমবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে কায়রোতে পা রাখেন তিনি। এরপরেই তিনি ইথিওপিয়া, উগান্ডা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে সফর করবেন বলে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে ইউক্রেনীয় সরকারকে উৎখাতের বিষয়ে এই মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ইউক্রেনের জনগণকে এমন একটি শাসন থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করব যা একেবারেই জনবিরোধী এবং ইতিহাসবিরোধী।’
আরও পড়ুন: ম্যানিলায় গুলিতে মেয়রসহ নিহত ৩
এদিকে, ইউক্রেনে প্রবেশে ইচ্ছুক জাহাজগুলোতে অস্ত্রের জন্য পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন ল্যাভরভ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দরে অতিরিক্ত শস্য নিতে আসা কোনো জাহাজ যেন কোনো অস্ত্র না আনে তা নিশ্চিত করার জন্য সেগুলো পরিদর্শন করা হবে।
কায়রোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এর আগে মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরির সাথে দেখা করে আরব লীগের এক ভাষণে ল্যাভরভ আরও বলেন, অস্ত্র বহনকারী যেকোনো জাহাজ ‘অবিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের জন্য ক্ষতিকর’ হবে। এ সময় মিশরে রাশিয়ান শস্য সরবরাহের বিষয়ে আশ্বাসও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রণবীর কাপুরের ওপর আমার ক্রাশ
প্রসঙ্গত, আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসরের সঙ্গে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সপ্তাহেই রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কর্পোরেশন রোসাটম মিসরের প্রথম পারমাণবিক প্ল্যান্টে দীর্ঘ বিলম্বিত নির্মাণ শুরু করে। ১৯৭০ সালে নীল নদের উপর আসওয়ান বাঁধ নির্মাণের পর রাশিয়ার ও মিসরের মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি রাশিয়া। এর বেশিরভাগই রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি করে দেশটি। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কোনও একটি পক্ষ নিতে অস্বীকার করে কায়রো। বরং মস্কো এবং পশ্চিম দুনিয়ার সঙ্গে সমান্তরালে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে তারা। এছাড়া মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। গত কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল