আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দেশটির সাবেক এক মেয়রও রয়েছেন।
আরও পড়ুন : ধর্মান্ধ হলে ইরাক-আফগান হতো দেশ
রোববার (২৪ মে) দেশটির রাজধানী ম্যানিলায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এদিন একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হয়েছিলেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় লামিটান শহরের সাবেক মেয়র রোজ ফুরিগে তার মেয়ের অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ফুরিগের পাশাপাশি এক নিরাপত্তাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি নিহত হন।
আরও পড়ুন : ইউএনও’র ভাষা মাস্তানের চেয়েও খারাপ
দেশটির কুইজন সিটি পুলিশের প্রধান রেমাস মেদিনা জানিয়েছেন, ফুরিগেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালায় হামলাকারী।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সদস্যদের গুলিতে আহত হন এবং গাড়িতে কিছুক্ষণ ধাওয়া করার পরে গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মেদিনা আরও বলেন, হামলাকারীকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হত্যাকারী বলে মনে হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তার কোনো স্বজন ছিল না।
আরও পড়ুন : দেশে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুলির ঘটনার পরপরই সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই হত্যাকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দ্রুত তদন্ত করবে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে জনসম্মুখে অস্ত্র বহনের জন্য মালিককে অনুমতি নিতে হয়।
ফিলিপাইনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা হ্যান্ডগান বা শটগান বহন করেন এবং শপিং মল, অফিস, ব্যাংক, রেস্তোরাঁ, এমনকি স্কুলেও আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন একটি সাধারণ দৃশ্য।
সান নিউজ/এইচএন