আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছেন বিদ্রোহী সংসদ সদস্য কেমি বাডেনোচ। ফলে এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন তিন জন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির চতুর্থ দফার ভোটেও ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই রাজনীতিবিদ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চতুর্থ দফায় নিজের দলের ১১৮ জন আইনসভা সদস্যের ভোট পেয়েছেন সুনাক। প্রধানমন্ত্রী পদে চূড়ান্ত প্রার্থী হতে গেলে সুনাকের দরকার নিজের দলের ১২০ জন আইনসভা সদস্যের সমর্থন। অর্থাৎ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির যত জন এমপি রয়েছেন, তাদের এক তৃতীয়াংশের সমর্থন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দেখতে মমতাকে আমন্ত্রণ
আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃতীয় দফর ভোটে আইনসভার ১১৫ জন সদস্য সুনাককে ভোট দিয়েছিলেন। সেখান থেকে চতুর্থ দফায় তার ভোট বেড়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ৯২টি ভোট। পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস পেয়েছিলেন ৮৬টি ভোট। তবে অনেকেই ধারণা করছেন কেমি লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ায় তার ভোট পাবেন ট্রাস। সেক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে পারেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুধবার (২০ জুলাই) চূড়ান্ত রাউন্ডের ভোট হবে। তারপর তিন প্রার্থীর মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ভোট পাওয়ার উপর প্রথম দুজনকে বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিল মেম্বার
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, বরিস জনসন সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মূলত ‘পার্টিগেট’ থেকে শুরু হয়েছিল জনসন সরকারের ভাবমূর্তির পতন। ব্রিটেনে কঠোর কোভিড লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবনে মদের পার্টি বসানো নিয়ে দলের মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন বরিস।
এরপর থেকে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে জনসন সরকার। কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচার-এর যৌন কেলেঙ্কারি কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেয়। মত্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ চেপে ধরার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন পিনচার। প্রথম থেকে পুরোটা জেনেও, অস্বীকার করেছিলেন বরিস। পরে তার মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায়। এরপরই জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যার সূত্র ধরে একের পর এক সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ইস্তফা দেন এবং বরিস জনসনও পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
সান নিউজ/কেএমএল