আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাবিশ্বের কোটি বছরের পুরনো কিছু ছায়াপথের ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। অসংখ্য তারার আলোর ঝলকানি দেখা যাচ্ছে এই ছবিতে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার আলোচিত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্রে সই করলেন গোতাবায়া
সোমবার (১১ জুলাই) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ছবি প্রকাশ করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
জেমস ওয়েব বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। যেটি ২০২১ সালে সফলভাবে মহাকাশে প্রেরণ করে। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর এটি মহাকাশে পাঠানো হয়। প্রথম প্রকাশ পাওয়া জেমস ওয়েবের তোলা ঐতিহাসিক ছবিটির বিশেষত্ব হলো, এটি ৪৬০ কোটি বছর আগের সুদূর মহাবিশ্বের ছায়াপথগুচ্ছের ছবি।
১৯২৭ সালে বেলজিয়ান ধর্মযাজক, গণিতবিদ ও মহাকাশবিদ জর্জেস লেমাইতার সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেন ঐতিহাসিক ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্ব। মহাবিশ্বের উদ্ভব সম্পর্কে এই তত্ত্বই এখন বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্ব অনুযায়ী, আনুমানিক ১ হাজার ৩০০ কোটিরও বেশি বছর আগে এক মহাবিস্ফোরণের ফলে উদ্ভব ঘটে এই মহাবিশ্বের। তারপর থেকেই গঠিত হওয়া শুরু করে ছায়াপথগুলো।
আরও পড়ুন: চালের দাম স্থিতিশীল
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে গোল, চ্যাপ্টা, লম্বাটে নক্ষত্রপুঞ্জ। তার প্রতিটা বিন্দু স্পষ্ট ধরা পড়েছে ছবিতে। আবার এর পাশেই রয়েছে ঝকঝকে তারার আলো। খালি চোখেও বোধহয় এত নিখুঁত ছবি দেখা সম্ভব হতো না।
মহাকাশ সংস্থা নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আকাশের বিপুল এলাকাজুড়ে প্রদক্ষিণ করে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। কিন্তু মহাবিশ্বের অতি অতি ক্ষুদ্র একটি অংশের ছবি এটি।’
তিনি বলেন, ‘ছবিতে আমরা যেসব ছায়াপথ দেখতে পাচ্ছি, সেসবের মধ্যে বেশ কয়েকটির জন্ম মহাবিশ্বের প্রাথমিক পর্যায়ে। এসব ছায়াপথ থেকে যে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে, তার বয়স প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর। সবচেয়ে পুরনো যে ছায়াপথটি, সেটির উদ্ভব হয়েছে বিগ ব্যাংয়ের ৮০ কোটি বছর আগে।’
আরও পড়ুন: আরও ২ সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মানবতার জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
সান নিউজ/এফএ