সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকভ শহরে আছড়ে পড়েছিল রুশ গোলা। এই হামলাতেই প্রাণ যায় স্নাইপার ও ব্রাজিলীয় মডেল থালিতা দো ভালের (৩৯)। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে থালিতার খোঁজ করতে বাঙ্কারে ফিরেছিলেন ব্রাজিলীয় সেনা ডগলাস বারজিও (৪০)। তখনই শহরে আছড়ে পড়ে রুশ গোলা। তাতেই প্রাণ যায় দু’জনের। এর আগে একবার বোমাবর্ষণ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন থালিতা।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে বরিস জনসন
এর আগেও থালিতা ইরাকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সেখানেই স্নাইপার হওয়ার প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ইরাকের স্বাধীন কুর্দিস্তানের সেনায় যোগ দিয়েছিলেন থালিতা। ইরাকে তার লড়াইয়ের বিস্তারিত বিবরণ ছিল নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। সেই তথ্য নিয়ে লেখা হচ্ছিল বইও।
অল্প বয়সে থালিতা মডেলিংও করেছেন। করেছেন অভিনয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে পশুদের উদ্ধার করতেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান এই স্নাইপারের ভাই থিও রডরিগেজ ভিয়েরা জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে ছিলেন থালিতা। সেখানে যুদ্ধপীড়িতদের উদ্ধারের পাশাপাশি শার্প শুটার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও অংশ নিয়েছিলেন ব্রাজিলের এই নারী।
এর আগেও মৃত্যুর মুখ থেকে একবার ফিরে এসেছেন থালিতা। তার পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে মোবাইলেও বিশেষ যোগাযোগ করতে পারতেন না।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ড্রোনের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাত রুশ সেনা। তাই মাঝেমধ্যে ফোন করে জানিয়ে দিতেন তিনি নিরাপদেই আছেন। শেষবার ২৭ জুন পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলেও, ইউক্রেন থেকে আর বাড়ি ফেরা হলো না থালিতার।
আরও পড়ুন: বিরতিহীন হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে