সান নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির কথিত অডিও টেপ ফাঁস হয়েছে। শোনা যায় পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)-এর ড. আরসালান খালিদকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাকে নির্দেশ দিচ্ছেন জনগণের কাছে ইমরান খান, বুশরা বিবি ও তার বন্ধু ফারাহ খান সম্পর্কে তথ্য প্রচারকারীদেরকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে। ইমরান খান তাকে বিয়ের সময় থেকেই তিনি আলোচিত।
আরও পড়ুন: ফের মামলায় অ্যাম্বার হার্ড
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। সাবেক এই ফার্স্টলেডিকে বলতে শোনা যায়, তিনি ড. আরসানাল খালিদের ওপর নাখোশ। কারণ পিটিআইয়ের সামাজিক যোগাযোগ টিম এ সময়টাতে ভাল কাজ করছে না। এ সময় তিনি ড. আরসালান খালিদ ও তার টিমকে কিছু নির্দেশনা দেন। তার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়ক হ্যাশট্যাগ চালু করতে বলেন।
বুশরা বিবি বলেন, ইমরান খান তোমাকে বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়ক হ্যাশট্যাগ চালু করতে বলেছেন, যাতে লোকজন বলতে পারে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয় আছে। এক সপ্তাহ ধরে এই মাধ্যম সক্রিয় নেই। এমন কেন হচ্ছে বেটা? এ সময় ড. খালিদ নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বুশরা বিবি তাকে বলেন, যা ঘটেছে তা ছেড়ে দাও। এরপর তিনি ড. খালিদের সঙ্গে শেয়ার করেন যে, আলিম খান এবং অন্যরা ইমরান খান, আমার ও আমার বন্ধু ফারাহ খানের বিরুদ্ধে কথা বলবে। ওরা অনেক কাহিনীর জন্ম দেবে। এর সঙ্গে জনগণের সেন্টিমেন্ট মিশে যাবে। এ নিয়ে কোনো ইস্যু সৃষ্টির করার দরকার নেই তোমার। তুমি শুধু তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতক বলে প্রচারণা চালাবে। বুশরা বিবির এই নির্দেশনা পেয়ে তাতে সম্মতিসূচক সাড়া দেন ড. খালিদ।
বুশরা বিবি আবার বলতে থাকেন, আলিম খান ও অন্যরা পরিকল্পনা অনুযায়ী কথা বলবে। সুতরাং তোমাকে যা করতে হবে তা হলো তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক হ্যাশট্যাগের সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে। তোমাকে হুমকিমুলক চিঠির বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে এবং বলতে হবে যে, আমরা জানি এই চিঠি যথার্থ। আমরা জানি এসব করা হয়েছে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। যারা এই বিশ্বাসঘাতকতায় যুক্ত হয়েছে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে সুখী পরিবারেও বিচ্ছেদ!
এই নির্দেশনার সঙ্গে সাবেক ফার্স্টলেডি বুশরা বিবি আরও বেশ কিছু নির্দেশনা দেন ড. খালিদকে। এতে পাকিস্তানের তখনকার ইমরান খানের সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে না এই ইস্যুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে ইমরান খানের সঙ্গে কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে তা তুলে ধরার কথা বলেন। বুশরা বিবি বলেন, এখন তোমাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই ইস্যুটি এখন মৃত নয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডিজিটাল মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা ড. খালিদকে নির্দেশান দেন যে, তার টিম যেন এটাই প্রচারণা চালান যে- পাকিস্তান ও ইমরান খানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি তোমাকে আরও যা বলতে চাই আরসালান তাহলো, ফারাহ ও আমার সম্পর্কে তারা অনেক কথা বলবে। তাদেরকে তোমার উচিত হবে বিশ্বাসঘাতকতা হ্যাশট্যাগ লাগিয়ে দেয়া।
তার এ নির্দেশনার জবাবে ড. আরসালান খালিদ বলেন, হ্যাঁ আমরা এটা করবো। এ সময় তাকে সাবেক এই ফার্স্টলেডি আরও বলেন, সবকিছু খোলাসা হওয়ার আগেই কিভাবে সব জেনে গেছেন ইমরান খান, তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন। তুমি বুঝতে পেরেছ। কিন্তু আমি তোমাকে এসব কিছুই বলেছি। কিন্তু এসব ইস্যু তুমি অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করো না। ওরা ইমরানের পিছু লেগে আছে। তোমাকে এসবের পরিবর্তে যা করতে হবে তা হলো, ওদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার হ্যাশট্যাগ লাগিয়ে দিতে হবে।
সান নিউজ/এনকে