ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
উইঘুর মুসলিমদের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের শক্তিশালী পলিটব্যুরোর এক সদস্যসহ চার কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) দেশটির উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া চার কর্মকর্তা হলেন, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কুয়াংগু, অঞ্চলটির সাবেক পার্টি সেক্রেটারি ঝু হাইলুন, জিনজিয়াং পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর পরিচালক ও পার্টি সেক্রেটারি ওয়াং মিংশান এবং সাবেক পার্টি সেক্রেটারি হুয়ো লিউজুন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত ক্ষতিকারক’ বলে বর্ণনা করেছে বেইজিং। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের একে অপরকে দোষাদোষী এবং হংকং নিয়ে এরই মধ্যে দু’দেশের মধ্যে তিক্ত হয়ে ওঠা সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এ নিষেধাজ্ঞা।
রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ভুল সিদ্ধান্তের জবাবে মার্কিন কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও একইরকম পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন লিজিয়ান। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভুল শুধরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় চীন ‘কড়া পাল্টা পদক্ষেপ’ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে ক্যাম্পে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং।
মার্কিন প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ৪ চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো লেনদেন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পদ থাকলে এখন তাও জব্দ করা যাবে।
সান নিউজ/ আরএইচ