আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে না। কারণ তারা জঙ্গিবাদে মদদ দেয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্ত
সম্প্রতি ন্যাটোর অন্যন্য সদস্যভুক্ত দেশগুলো ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে ন্যাটোতে স্বাগত জানিয়েছে। এরদোগানকে অন্যন্য দেশগুলো আহ্বান জানিয়েছে, তিনি যেন ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে সবুজ সংকেত দেন। কিন্তু এরদোগান এখনো এ ব্যাপারে ইতিবাচক হননি। তবে তুরস্ক যেন কোনো বাঁধা না দেয় সেটি নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের নেতারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনাটি ‘কঠিন’ হবে। তবে তিনি দাবি করেছেন, তুরস্কের সঙ্গে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের আলোচনার অনেক ‘অগ্রগতি’ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পতনের মুখে ইউক্রেন
ন্যাটো সামিটে যোগ দেওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড-সুইডেন কয়েক বছরের ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা ভেঙেছে। আর এখন (ন্যাটোতে) যোগ দিতে চাচ্ছে। এটি কঠিন আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, সুইডেনসহ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর জনগণের মধ্যে ন্যাটোর সামরিক জোটে যোগদানের জন্য কখনোই খুব বেশি সমর্থন ছিল না। কিন্তু যখন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সম্প্রতি ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার দিকে তাদের যেকোনো পদক্ষেপের পরিণতি হতে পারে সামরিক, তখন উভয় দেশের মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত হয়।
আরও পড়ুন: মিষ্টি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
তারপর থেকে রুশ যুদ্ধবিমান নির্বিচারে সুইডিশ আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার একটি সাবমেরিন প্রবেশ করেছিল স্টকহোমের সীমানায়। নিরপেক্ষ থাকাই যদি রাশিয়ার কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যথেষ্ট না হয়, তবে হয়তো ন্যাটোতে যোগ দিলে দেশ দু’টি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পেতে পারে, বলছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের জনগণ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার কাছে নিজেদের ১০ শতাংশ ভূমি হারালেও কোনো জোটে যোগ দেওয়া থেকে বিরত ছিল ফিনল্যান্ড। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড উত্তর ইউরোপের দেশগুলোকে আশঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। ফলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলো নিজেদের অনিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে।
সান নিউজ/কেএমএল