আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘যদি আমরা পুতিনকে এটি নিয়ে যেতে দেই; একটি মুক্ত, স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের বিশাল অংশ জয় করতে দেই, যেটা তিনি করতে চাইছেন...তাহলে বিশ্বের জন্য এর পরিণতি একেবারেই বিপর্যয়কর হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
রোববার (২৬ জুন) সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন জনসন। জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে জনসন জার্মানিতে আছেন। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশ যখন জার্মানির বাভারিয়াতে সম্মেলন করছে, তখন রাশিয়ার ছোড়া এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বার বার কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোকে যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কোর উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ করে জনসন বলেন, ‘আমি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এটাই বলব, এটি এমন কিছু যা আমেরিকা ঐতিহাসিকভাবেই করে এবং তাদের করতে হবে। এটা শান্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া।’
আরও পড়ুন: সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ চারমাস শেষ হয়ে পঞ্চম মাসে পড়েছে। শুরুতে আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধে কিছু উদ্যোগ দেখা গেলেও কোনো অগ্রগতি ছাড়াই তা বন্ধ হয়ে গেছে। রাশিয়া কোনো ভাবেই আগ্রাসন থামাতে রাজি না। পুতিনকে বাধ্যও করা যাচ্ছে না। তবে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে কীভাবে মস্কোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করা যায় তা নিয়ে এবারের জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
বিশ্বের শীর্ষ সাত শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের সংগঠন জি-৭। মস্কোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এরই মধ্যে জি-৭ ভুক্ত চার দেশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। যা শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি তিন দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিও একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সান নিউজ/কেএমএল