সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন যে, রাশিয়া ডনবাস অঞ্চল ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ওই অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। তিনি বলেন, এখানে দখলদারদের লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা ধাপে ধাপে পুরো ডনবাসকে ধ্বংস করতে চায়।
আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০
এদিকে প্রেসিডেন্টের এক শীর্ষ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্কে সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ওলেক্সি আরেস্তোভিচ নামের ওই উপদেষ্টা বলেন, রুশ বাহিনী শিগগির ওই শহরগুলোকে ঘিরে ফেলতে পারে এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
কৌশলগত ভাবে রুশ বাহিনী ওই অঞ্চলে বিজয়ী হতে পারে বলে হুমকি দেখা দিয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের এখনও বড় ধরনের কোনো অর্জন নেই। ইউক্রেনের ভূখণ্ড রক্ষায় ভারী কামান সরবরাহের গতি আরও বাড়ানোর জন্য পশ্চিমা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এদিকে খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, গত মঙ্গল ও বুধবার খারকিভে হামলা চালানো হয়।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনেহুবোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের আবাসিক জেলাগুলো এবং বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার কামান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ দখলদাররা বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল
ওলেক্সি অ্যারেসতোভিখ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, জনগণের মনে আতঙ্ক ছড়াতে এবং ইউক্রেনকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য করতেই খারকিভে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির দিকে এগোনো চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। সেখানে তীব্র লড়াই চলছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে উরাগান মাল্টিপল রকেট লঞ্চার ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে খারকিভ পুলিশ প্রশাসন।
গত সপ্তাহে বেশ পূর্ব ইউক্রেনের ইজিয়াম জেলায় একটি গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। মঙ্গলবারও কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ওইদিনের হামলায় আরও কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন খারকিভের গভর্নর।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে