সান নিউজ ডেস্ক: ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের প্রধান নদীগুলোর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের মধ্যে ভূমিধস ও অন্যান্য ঘটনায় এই দুই রাজ্যে অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামের ২৮টি জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যটির কর্মকর্তারা জানান, কর্মকর্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি অনেক এলাকায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা কবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতা জারি করেছে। একই সঙ্গে তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আসামের গুয়াহাটিতে তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। গুয়াহাটি শহরেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিধসে নুনমতি এলাকার অজন্তানগরে তিনজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক লাইফ লাইন
মেঘালয় সরকার রাজ্যের চারটি অঞ্চল দেখার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্য সরকারের একজন করে মন্ত্রী। মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়ার পরে ন্যশনাল হাইওয়ে ৬-এ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম এবং মেঘালয়ের কিছু অংশের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত।
মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সান নিউজ/এনকে