সান নিউজ ডেস্ক: ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আগেই সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন; ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে কিন্তু সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেননি জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: কারও কাছে মাথানত করিনি
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জানি, অনেকে আমার কথাকে অতিরঞ্জিত মনে করতে পারেন; তবে রাশিয়া যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে— এ বিষয়ে আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য ছিল।’
‘এবং আমি এই তথ্য ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানিয়েছিলাম, তাকে সতর্কও করেছিলাম; কিন্তু জেলেনস্কি এবং আরও অনেকেই তখন আমার কথায় কান দিতে চাননি।’
‘অবশ্য আমি পরে বুঝতে পেরেছি—এমন একটা বিপর্যয় কেউ আশা করেননি, তাই তখন আমার সতর্কবার্তায় গুরুত্ব দেননি জেলেনস্কি ও অন্যান্যরা; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো বিপর্যয় ঘটলই…এড়ানো গেল না।’
যুক্তরাষ্ট্র ও তার বিভিন্ন মিত্র দেশের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
বুধবার ১০৭তম দিনে পৌঁছেছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।
বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্কের সেভারদনেতস্ক শহরে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে রুশ বাহিনীর।
এদিকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর অনেক আগে থেকেই হামলার ব্যাপারে আশঙ্কা জানিয়ে আসছিলেন বাইডেন। তবে ইউক্রেনসহ ইউরোপের কিছু মিত্র দেশ সে সময় বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ‘অতি সাবধানী’ কথাবার্তা বলছে।
সান নিউজ/এসআই