আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মোবাইল ফোনে পাবজি গেম খেলতে না দেওয়ায় মাকে গুলি করে হত্যা করেছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর। শুধু তাই নয়, সে তার মাকে হত্যা করে দুই দিন ধরে সেই মরদেহ বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫০০ কোটি ডলার
পুলিশের বরাত দিয়ে আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কিশোর গত রোববার সকালের দিকে তার মাকে গুলি করে হত্যা করে। সে তার বাবার রিভলবার দিয়ে তার মাকে গুলি করেছে। মোবাইলে তার গেম খেলায় আসক্তি ছিল। মায়ের সঙ্গে এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। মাথায় গুলি লাগায় অল্প সময়ের মধ্যেই ওই নারী নিহত হন।
পরে ওই কিশোর তার মায়ের মরদেহ একটি রুমের মধ্যে লুকিয়ে রাখে এবং তার ৯ বছরের বোনকে নিয়ে দুই দিন ধরে বাড়িতেই অবস্থান করে। মরদেহের গন্ধ যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সে রুমের মধ্যে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করেছে।
ওই কিশোরের বোন পুলিশকে জানিয়েছে যে, কাউকে কিছু না জানানোর জন্য তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল তার ভাই।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকে ২৩ ছাত্রী বহিষ্কার
মঙ্গলবার (৭ জুন) ওই নারীর পঁচে যাওয়া মরদেহ থেকে যখন ভয়াবহ দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে তখন ওই কিশোর তার বাবাকে ফোন করে মায়ের মৃত্যুর কথা জানায়। তার বাবা তখন প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
ওই কিশোরের বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন। বাবাকে ফোন করে ওই কিশোর মিথ্যা গল্প বলেছিল। সে জানিয়েছিল, তাদের বাড়িতে কাজ করতে আসা এক ইলেকট্রিশিয়ান তার মাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
পুলিশকেও সে একই গল্প শুনিয়েছে। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে যে সে মিথ্যা বলেছে। তবে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর তার অপরাধ স্বীকার করেছে।
সান নিউজ/এফএ