সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ২৫০ জন সেনা সদস্য হারিয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা নিশ্চিতে কাজ করছি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৬টি ট্যাঙ্ক, ৩ হাজার ৪শ সামরিক যান, ৬৯০ আর্টিলারি সিস্টেম, ২০৯টি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ৫৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৯৬টি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ২১১টি যুদ্ধবিমান, ১৭৬টি হেলিকপ্টার এবং ১৩টি জাহাজ ও বেশ কিছু নৌকা হারিয়েছে মস্কো।
এদিকে গত ৪ জুন ইউক্রেন দাবি করে যে, লুহানস্ক অঞ্চলের যে শহরটি ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছে, সেখানে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে তারা কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে।
ইউক্রেন যাতে সেখানে বাড়তি সৈন্য এবং রসদ পাঠাতে না পারে সেজন্যে রুশ বাহিনী সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের পশ্চিমে একটি নদীর ওপর সেতুগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা।
অপরদিকে রাশিয়া দাবি করছে, তারা অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ একটি একটি ইউক্রেনীয় বিমান ভূপাতিত করেছে।
কয়েকদিন ধরেই সেভেরোদোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে। শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশই রুশরা দখল করে নিয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা সেখান থেকে পিছু হটতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর এখন দাবি করছেন, রুশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা এখন শহরটির এক পঞ্চমাংশ পুনর্দখল করেছেন।
গভর্নর সেরহি হাইদাই বলছেন, সেখানে যাতে আরও ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং রসদ পাঠানো না যায়, সেজন্যে রুশরা সেভেরোদোনেৎস্কের পশ্চিমে একটি নদীর ওপর ব্রিজগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ইউক্রেন সেখানে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, তাতে রুশরা ভীত।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর মধ্যে রাশিয়া দাবি করছে, তারা ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমানে আক্রমণ চালিয়ে সেটি ধ্বংস করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওই বিমানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন করা হচ্ছিল, ওডেসা বন্দরের কাছে এটি ভূপাতিত করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেন, তারা ইউক্রেনীয়দের বেশ কিছু লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে