ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলের মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে ক্লিনিং সেবা প্রদানের চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর। তার বিরুদ্ধে অর্থ ও মানবপাচার এবং ভিসা বাণিজ্যের অপরাধের তদন্ত চলায় চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েতের সেন্ট্রাল এজেন্সি অব পাবলিক টেন্ডার।
আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের চুক্তির মেয়াদ না বাড়লেও কুয়েত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্লিনিং সেবা প্রদানের চুক্তি রয়েছে পাপুলের কোম্পানির। এখনও সেগুলো বলবৎ আছে।
এই চুক্তিগুলোর বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে কুয়েত সরকার। কারণ পাবলিক প্রসিকিউটরের সিদ্ধান্তে ওই কোম্পানিগুলোর অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। ফলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে এবং তারা এজন্য যেকোনও সময়ে বিক্ষোভ করতে পারে।
গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের জন্য।
তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন খরচ বাদেও প্রায় ৬০ কোটি টাকা লাভ করতো। এছাড়া পাপুলের এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করতে ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছে পাবলিক প্রসিকিউটর।