আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে উন্নতমানের রকেট লাঞ্চার সরবরাহের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে এই অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি সংঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চমক নিয়ে আসছেন ববি
বুধবার (১ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছেকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে যুদ্ধের আগুনে জ্বালানি যোগ করছে।
রাশিয়ান ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র যদি ইউক্রেন ব্যবহার করে তাহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে- প্রশ্নের জবাবে পেশকভ বলেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা না বলি।
আরও পড়ুন: বাজেটে গুরুত্ব পাবে অনিশ্চয়তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার দেশ ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে না, বরং মধ্যম পাল্লার উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরে এসব অস্ত্র ব্যবহার করবে কিয়েভের সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না বলে ইউক্রেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির পর ৮০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে ইউক্রেনে এমন রকেট সরবরাহে রাজি হয়েছে ওয়াশিংটন।
পেশকভ বলেছেন, মস্কো এ ধরনের আশ্বাসে বিশ্বাস করে না। রাশিয়ার ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপের ঝুঁকি পর্যালোচনা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মস্কো। তবে ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে ‘অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে’ দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের স্কুলে গোলাগুলি, নারী নিহত
ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র বলেছেন, এই ধরনের অস্ত্রের সরবরাহ ইউক্রেনের নেতাদের শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে নিরুৎসাহিত করবে।
এদিকে, রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যে সব অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে তাতে পরিস্থিতির মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনবে না বরং ঝুঁকি বাড়াবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নব্য-নাৎসিমুক্ত ও রুশ ভাষাভাষীদের নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধ তিন মাসের বেশি সময় ধরে চললেও এখন পর্যন্ত অবসানের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, যুদ্ধে সহায়তার লক্ষ্যে ইউক্রেনকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
সান নিউজ/এফএ