আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্পেনের মারবেলা রিসোর্ট থেকে কাতারের এক প্রিন্সের সাবেক স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিহত ১০
বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এই তথ্য জানান।
কাসিয়া গ্যালানিও নামের ওই নারী কাতারের প্রিন্স ও ধনকুবের আব্দেল আজিজ বিন খলিফা আল-থানির তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। প্রিন্সের সংসারে জন্ম নেওয়া তিন সন্তানের উত্তরাধিকার নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে রোববার গ্যালানিও মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্তানদের উত্তরাধিকার নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে তিক্ত আইনি লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ
দ্য ডেইলি বিস্ট বলছে, স্বামী আব্দেল আজিজ বিন খলিফা আল থানির বিরুদ্ধে নিজের তিন মেয়ের একজনকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন বলে অভিযোগ এনেছিলেন গ্যালানিও। মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনার পর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান তিনি।
স্পেনের মারবেলা রিসোর্টে একটি বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। অন্যদিকে, তার তিন সন্তান প্যারিসে বাবার সাথে থাকতেন। তবে মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন আল-থানি।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে জন্ম নেওয়া গ্যালানিও (৪৫) ২০০৪ সালে ৭৩ বছর বয়সী আল-থানিকে বিয়ে করেন। আল-থানি ১৯৯২ সালে আমিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টার অভিযোগে রাজপরিবার থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর প্যারিসে চলে যান।
আরও পড়ুন: স্বর্ণসহ যাত্রী আটক
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্যালানিও স্পেনে একাকী বসবাসের সময় হতাশায় ভুগছিলেন ও বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। মাদকাসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হাসপাতালে কয়েক মাস চিকিৎসাও নেন তিনি। কাতারের যুবরাজের সাবেক এই স্ত্রী নার্ভাস ব্রেকডাউনে ভুগছিলেন বলে ফরাসি বিভিন্ন গণমাধ্যম দাবি করেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে ফোন কলে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে সন্তানরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পরে পুলিশ তার বাসা পরিদর্শনে যায়। এসময় নিজ ঘরে গ্যালানিওকে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ।
তবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন, তা জানতে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
সান নিউজ/এফএ