সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে তীব্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। রুশ সেনাদের জোরদার এই হামলার মুখে ডনবাসের লুহানস্ক অঞ্চল থেকে পিছু হটতে হতে পারে ইউক্রেনীয় সেনাদের। শুক্রবার (২৭ মে) এমন তথ্যই জানিয়েছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। শনিবার (২৮ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আলোচনায় রাজি ইমরান খান!
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ডনবাসের লুহানস্ক এবং দোনেতস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে দখল করার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। এছাড়া রুশ বাহিনী এই অঞ্চলে আরও ভূখণ্ড ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলে নিয়েছে।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেছেন, কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আটকে রাখার চেষ্টা করার পর রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডনবাস অঞ্চলের বৃহত্তম শহর সিভিয়ারোদোনেতস্কে প্রবেশ করেছে। রুশ হামলায় শহরের ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিভারস্কি ডোনেতস নদীর তীরজুড়ে অবস্থিত সিভিয়ারোদোনেতস্ক এবং লিসিচানস্ক শহরকে উল্লেখ করে টেলিগ্রামে গাইদাই বলেন, ‘বিশ্লেষকদের করা ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী রাশিয়ানরা আগামী দিনে লুহানস্ক অঞ্চল দখল করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের বেশি ঝুঁকিতে তরুণরা
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আত্মরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি এবং সরঞ্জাম থাকবে। তবে এটিও সম্ভব যে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া এড়াতে আমাদের পিছু হটতে হবে।’
রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারা বলছে, তারা এখন সিভিয়ারোদোনেতস্কের পশ্চিমে রেলওয়ে কেন্দ্র বলে পরিচিত লাইমান নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া লাইমানের বেশিরভাগ অংশ দখল করলেও ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত স্লোভিয়ানস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে