আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব হঠাৎ করেই পদত্যাগ করলেন। রাজ্যপালকে এক লাইনের চিঠি লিখে পাঠিয়ে পদত্যাগের কথা জানান তিনি। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিপ্লব কেন এমনভাবে পদ ছেড়ে দিলেন ?
আরও পড়ুন : পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার
ত্রিপুরার রাজনীতিতেও নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তিনি। আগামী বছরেই ওই রাজ্যের বিধানসভা ভোট হতে চলেছে।
পদত্যাগের পর বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মার্গদর্শন অনুযায়ী এত দিন কাজ করে চলেছেন। তবে এবার দল তাকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চায়।
ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'দল চাইছে ২০২৩ নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। তাই দল আমাকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চাইছে।'
আরও পড়ুন : অপশক্তি দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
বিপ্লবের কথায় এদিন কোথাও যেন আক্ষেপের সুর শোনা গেল। তিনি বললেন, 'এত দিন প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে আমি কাজ করে এসেছি। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছাতেই সংগঠনের কাজ করব।'
২০২৩ সালেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগে বিপ্লবের ইস্তফা বিজেপির ভাবমূর্তিকে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিলো। অনেকেই মনে করছেন বিপ্লবের ইস্তফার নেপথ্যে রয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
আরও পড়ুন : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ নির্বাচিত
বিশ্লেষকদের মতে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা হচ্ছিল, তাতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরাগভাজন হচ্ছিলেন। তাছাড়া, প্রশাসনের বিভিন্ন প্যারামিটারেও বিপ্লবের ত্রিপুরা সরকার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল।
মাত্র চার বছরেই ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। সম্ভবত ওই কারণেই বিধানসভা ভোটের আগে মুখ বদল করল গেরুয়া শিবির বলে জানিয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।
সান নিউজ/এইচএন