আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলমান উত্তেজনার মধ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী ও বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে জাহাজগুলোকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হবে বলে মার্কিন নৌ বাহিনী থেকে জানানো হয়েছে।
প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় চীনের সামরিক মহড়া নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পেন্টাগন এই ঘোষণা দিলো।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় গত ১ জুলাই শুরু হওয়া চীনের সামরিক মহড়া আগামী ৫ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এরইমধ্যে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে তারা জানিয়েছে, শিগগিরই ওই মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য তারা দাবি করছে, এই সামরিক সমাবেশের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে ইউএসএস নিমিটজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ যৌথভাবে মহড়া চালাবে।
মার্কিন সপ্তম নৌ বিহারের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি বলেন, ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মহড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনীগুলো অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা বিশ্বের ঘটনাবরীকে কেন্দ্র করে এ জাহাজগুলো পাঠানো হচ্ছে না। বরং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, ও সমৃদ্ধি রক্ষায় মার্কিন নৌবাহিনী যেসব অত্যাধুনিক সক্ষমতা ব্যবহার করে এটি তারই একটি।
মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরো কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম।
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে ওই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় তারা।
এর অংশ হিসেবেই এ সাগরে চীনের চলমান মহড়ায় ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের আপত্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ওয়াশিংটন। সূত্র: সিএনএন।
সান নিউজ/সালি