ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
শর্তসাপেক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বিশদ পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার পর শুক্রবার (৩ জুলাই) এটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। দেশগুলোতে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদনকৃত প্রথম থেরাপি এটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত কোনও অনুমোদিত ওষুধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কার্যকরী ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথও বেশ কয়েকটি ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এরই একটি হলো রেমডেসিভির। গিলিয়াড সায়েন্সেস-এর তৈরি এ ওষুধটি অতীতে ইবোলার বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হলেও এতে সফলতা এসেছিলো খুবই কম। তবে করোনা আক্রান্তদের শরীরে রেমডেসিভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে গিলিয়াড সায়েন্স দাবি করে, এ ওষুধ প্রয়োগের পর আক্রান্তদের সেরে উঠতে সময় কম লাগছে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, রেমডেসিভির ওষুধটির সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এরইমধ্যে জরুরি প্রয়োজনে করোনা রোগীদের রেমডিসিভির প্রদানের অনুমতি দেওয়া আছে। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার সে তালিকায় যোগ দিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
অনুমোদনের শর্তে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সী কিংবা যাদের ওজন ৪০ কিলোগ্রামের বেশি তাদের কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যাবে। এর আগে গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানায়, এই ওষুধটি নিউমোনিয়ায় ভোগা ও অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ১২ বছরের বেশি বয়সী করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড-এর তৈরি এ ওষুধটি ট্রাম্প প্রশাসন এতো বেশি পরিমাণে কিনেছে যে, আগামী তিন মাসের জন্য এর আর কোনও স্টক অবশিষ্ট নেই। ফলে এ সময়ের মধ্যে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর আর এ ওষুধ কেনার সুযোগ থাকছে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্যও না।
এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হেলথ কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকাইডস বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখব না।’
সান নিউজ/ বি.এম.