ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ২০১৭ সালে ক্ষমতার আসার পরে টানা তিন বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন এদুয়ার্দ ফিলিপ্পি। জনপ্রিয়তার নিরিখে কিছু সমীক্ষায় তিনি সুদর্শন ম্যাক্রোকেও হার মানিয়েছেন। সেই এদুয়ার্দ ফিলিপ্পি শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার ইস্তফা গ্রহণ করে শনিবার (৪ জুলাই) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জ্যঁ কাস্তেক্সের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, পদত্যাগ করলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী বহাল হওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন ফিলিপ্পিই। সম্ভবত রোববারের মধ্যেই সেই রদবদল হয়ে যেতে পারে বলে জল্পনা প্রশাসনের অন্দরে।
৫৫ বছরের কাস্তেক্স এত দিন দক্ষিণ ফ্রান্সের প্রেদসের মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন। ফিলিপ্পির মতো জনপ্রিয় না হলেও অভিজ্ঞ প্রশাসক হিসেবে নামডাক রয়েছে। করোনা-আবহে ফ্রান্সে কী ভাবে লকডাউন তোলা হবে, তার নীল নকশা তৈরির সময়ে কাস্তেক্সের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন ফিলিপ্পি। কিন্তু তাকে সরতে হল কেন?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, করোনায় অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত সরকার। সম্প্রতি স্থানীয় ভোটেও খারাপ ফল করেছে ম্যাক্রোর দল। কোনও বড় শহরেই তারা জিততে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনে রদবদল এনে সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন অনেকে। ম্যাক্রো নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ‘পুনর্জাগরণ’ ও ‘নতুন পথ’ খোঁজার কথা বলেছেন তিনি। বিরোধী মহলে অবশ্য গুঞ্জন, আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে প্রেসিডেন্টের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
তবে কারণ যা-ই হোক-না কেন, ফ্রান্সে এই ধরনের রদবদল নতুন নয়। পূর্ণমেয়াদের পাঁচ বছরে প্রশাসনে আগেও বড় রদবদল এনেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা। তবে ম্যাক্রো সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠিক কি না, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতেই জবাব মিলবে।
সান নিউজ/ বি.এম.