ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
আচমকা সীমান্ত সফর। সীমান্ত চৌকি থেকে সেনা হাসপাতাল, ঘুরে ঘুরে কথা বলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে। তার পরে নিমুতে সামরিক সমাবেশে দাঁড়িয়ে চীনের নাম না করে হুঁশিয়ারি। ইতিহাস সাক্ষী, বিস্তারবাদীরা মুছে গিয়েছে পৃথিবী থেকে— লাদাখ থেকে দেওয়া ভাষণে শুক্রবার (৩ জুলাই) এ কথাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গোটা পৃথিবীতে যখন ‘বিকাশবাদ’ প্রাসঙ্গিক, তখন ‘বিস্তারবাদী’ চীন শান্তিভঙ্গ করছে— মোদীর ভাষণে এই বার্তা খুব স্পষ্ট ভাবেই মিলেছে এ দিন। সব দেশ বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গলওয়ানে ভারতীয় বাহিনীর বীরত্বের ভূয়সী প্রশংসা এ দিন শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
তিন বাহিনীর প্রধান চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণেকে সঙ্গে নিয়ে লাদাখ গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লেহ থেকে তিনি এলএসি-র দিকে ফরওয়ার্ড পোস্ট ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে। ১৫ জুন রাতে গালওয়ানের সংঘর্ষে যে জওয়ানরা জখম হয়েছিলেন, তাদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই লেহতে দেখা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখা এবং জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলার পর সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে এক দিকে যেমন সেনার বীরত্বের কথা বলেছেন, তেমনই নাম না করে চীনকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। গালগওয়ানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী বলেন, গালওয়ানে যে বীরত্ব আপনারা দেখিয়েছেন, তা সারা দেশ মনে রাখবে। আপনারা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত তথা ভারতীয় সেনার শক্তি কতটা। আপনাদের সঙ্কল্প এই উপত্যকার চেয়েও শক্ত। আপনাদের ইচ্ছাশক্তি এই পর্বতের মতোই অটল।’’