আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : অফিস খুলছে বৃহস্পতিবার
বুধবার (৪ মে) সামনে আনা এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার তেল ও পরিশোধিত পণ্য আমদানি বন্ধ করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তব্য প্রদানের সময় এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন উরসুলা ভন ডার লিয়েন। রুশ তেল আমদানি বন্ধের প্রস্তাব উত্থাপনের পর আইনপ্রণেতারা তাকে সাধুবাদ জানান। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : ক্ষমতা ছাড়ছেন পুতিন
বক্তব্যে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘আমরা ৬ মাসের মধ্যে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিশোধিত পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেবো। রাশিয়ার তেল আমদানির বিরুদ্ধে এটি হবে একটি পরিপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।
সমুদ্রজাত ও পাইপলাইন, অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত নির্বিশেষে রাশিয়ার কাছ থেকে সকল আমদানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।’
অবশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তেল বা জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কার্যকর করা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য বেশ কঠিন। কারণ ইউরোপের প্রায় সকল দেশই রুশ জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ২১
এছাড়া ইতোপূর্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জবাবে অবন্ধুসুলভ দেশগুলোর কাছে রুশ মুদ্রা রুবলে জ্বালানি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিন সরকার।
রুশ মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধ না করায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় ইতোমধ্যেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। আর তাই বাধ্য হয়ে ইউরোপের অনেক দেশ ও সংস্থা রুবলে মূল্য পরিশোধ করে রাশিয়ার কাছ থেকে গোপনে গ্যাস কিনছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি ইউরোপীয় দেশগুলোর ঐক্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি।
আরও পড়ুন : আসামে চলতি মাসেই ঢাকা-দিল্লি বৈঠক
আর তাই তেল ও পরিশোধিত পণ্য আমদানি বন্ধ-সহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ দফার নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবের বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘এটি (আমদানি বন্ধ করা) সহজ হবে না। কিছু সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার তেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু আমরা এটি (নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে) কাজ করবো।’
সান নিউজ/এইচএন