আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নামে আগ্রাসন শুরু করেছে রুশ সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়ে থানায় হাজির স্ত্রী
আলজাজিরার এক প্রতিবেদেন বলা হয়, পশ্চিমা কর্মকর্তারা ধারণা করতে শুরু করেছেন, আগামী ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসেই ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন।
বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এলবিসি রেডিওকে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি- এবার তিনি (পুতিন) ওই ‘বিশেষ অভিযান’ থেকে সরে আসার চেষ্টা করবেন। কেননা তিনি নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করছেন।
মার্কিন মিডিয়া সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকে কার্পেন্টার মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রয়েছে যে- রাশিয়া মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ডোনেস্ক এবং লুহানস্ককে যুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খেরসন শহরকে ‘গণপ্রজাতন্ত্র’ ঘোষণা ও সংযুক্তেরও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে মস্কো। মূলত সিএনএনের একাধিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
পশ্চিমা কর্মকর্তা ও সিএনএনের এমন আভাসে ক্রেমলিনের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও ডনবাস অঞ্চলের ডোনেস্ক, লুহানস্ক এবং খেরসনের অধিকাংশ বেশিরভাগ স্থানেই রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এমনকি হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারে এখনো তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: আনন্দ করতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে না আনি
সেখানকার বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে করে যাচ্ছে রাশিয়া। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মারিউপোলের পরিস্থিতিও প্রায় একই।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্য মতে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে তিন হাজারেরও অধিক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্টকে বারংবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সান নিউজ/এমকেএইচ