আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের খুনের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আরও পড়ুন : ঢাকায় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর
তিনি দাবি করেন, গ্রামের ভেতরে ঢুকে মানুষজনকে গুলি করে 'ওপারে' ফেলে দিচ্ছে বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিএসএফ’র তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
কুচবিহারের পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলার সময় মমতা বিএসএফ নিয়ে ‘সতর্ক’ করে দিয়ে বলেন, ‘তুমি একটা জিনিস লক্ষ্য রেখ, তোমাদের (অনুমতি) ছাড়া ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফকে ঢুকতে দেবে না।
আরও পড়ুন : তেঁতুলতলা মাঠে থানা হবে না
তার কারণ হচ্ছে, ওরা ঢুকেই গ্রামের লোককে গুলি করছে এবং ওপারে ফেলে দিয়ে আসছে। এরকম অনেক কেস আমাদের কাছে এসেছে। কুচবিহারে পরপর এরকম ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএসএফকে বলো, ওরা যা অপারেশন করবে, স্টেট পুলিশকে জানিয়ে করবে।’
গত বছর কুচবিহারের সিতাইয়ে মৃত্যু হয়েছিল একাধিক ব্যক্তির। ওই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী রিমান্ডে
বিশেষত সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফের প্রবেশের ছাড়পত্র দেয়ার আবহে সেই বিতর্ক আরও বেড়েছিল।
বিএসএফের সেই এখতিয়ার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফের এখতিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন জেলার কর্তাদের ‘সতর্ক’ করেছিলেন মমতা।
বুধবার সেই ঘটনার রেশ ধরেই সম্ভবত মমতা বলেন, ‘এপারে মেরে ওপারে ফেলে দেয়। আগের কেসটায় তাই করেছিল। লোকটা কুচবিহারের ছিল। বাংলাদেশের ছিল না। তোমরা আমায় প্রথম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলে যে বাংলাদেশের (লোক) ছিল। না, বাংলাদেশে ফেলে দিয়ে এসেছিল (বিএসএফ)।
আরও পড়ুন : কাল শুরু ৬ দিনের ছুটি
তোমরা জানো, একবার ৪ জনকে মেরে জলপাইগুড়িতে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু আমি ধরেছিলাম। কারণ আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম।
আমি জানি, ডেডবডি কিভাবে ফেললে তার কী আকার হয়। হাতেনাতে ধরেছিলাম। জলপাইগুড়ির দুর্ঘটনা নয় এটা।’
সান নিউজ/এইচএন