ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতের আসামে লকডাউনের মধ্যে ফেরার পথে আটক হওয়া বাংলাদেশি জেলেদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তার নাম বকুল মিয়া (৫৫)।
তিনি কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলার বাসিন্দা। বুকের ব্যথায় অসুস্থ হলে পুলিশ তাকে ধুবড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পর বুধবার মারা যান বকুল। দুই মাস আগে বকুলসহ ২৬ বাংলাদেশিকে আটক করে ধুবড়ি পুলিশ। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
ধুবড়ি পুলিশ প্রধান যুবরাজ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার সকালে মারা যান তিনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে কয়েকদিনের মধ্যে তার মরদেহ চেংরাবান্ধা-বুড়িমারি ইমিগ্রেশন পথে বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা ও আইনী প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আগামী ৬ জুলাই আদালতে শুনানি রয়েছে।
তবে বকুলের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা থাকলেও ভারতে লকডাউন চলার মধ্যে গত ২ মে ২৬ বাংলাদেশি দুটি মিনিবাসে করে আসামের জোরহাট জেলা থেকে দেশে ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। ভারতে জেলে ও খামারকর্মী হিসেবে কাজ করা এসব বাংলাদেশিকে লকডাউন ভঙ্গ করায় বাহালপুর এলাকা থেকে আটক করে আসামের ধুবড়ি পুলিশ। করোনা পরীক্ষার পর তাদের পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে।
এরপর গত ৫ মে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং পাসপোর্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাসপোর্টধারী এসব বাংলাদেশি ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং রাজ্যের জোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগর এলাকায় কাজ করার মাধ্যমে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেছে।
সান নিউজ/ আরএইচ