সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া দাবি করছে, এক রাতেই ইউক্রেনের ৫শ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, ইউক্রেনের ৮৭টি সামরিক টার্গেটে হামলা চালিয়েছে তাদের বিমান বাহিনী। এসব হামলায় ইউক্রেনের ৫শ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওয়াজ শরিফ পেলেন নতুন পাসপোর্ট
খারকিভ অঞ্চলের দুটি অস্ত্রের গুদামেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি সংরক্ষণাগার এবং মেরামতের ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে বলে ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়।
সেখানে সামরিক ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক যান দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে গোলাবারুদ, অস্ত্র, এবং ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত থামাতে দেশ দুটিতে সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) তিন দিনের সফরে প্রথমে তিনি রাশিয়া যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের বিশ্বাস ইউক্রেনই জিতবে
প্রায় তিন মাস ধরে ইউক্রেনে লড়াই চলছে। কিন্তু এখনো জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে ওই এলাকায় চরম মানবিক সংকট ছড়িয়ে পড়েছে।
তাছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব পাস করতে পারেনি। কারণ গুরুত্বপূর্ণ এ পরিষদের স্থায়ী সদস্য হচ্ছে রাশিয়া। দেশটির রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন অনেকেই। বলা হচ্ছে সংকট মোকাবিলায় সীমিত পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
অপরদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বিভিন্ন দেশের নেতারা এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রাশিয়া সফরে যাচ্ছে জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে