ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
২০২০ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জনসমাগমে মাস্ক পরার সুপারিশ করেছিল। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। কেননা, একজন মানুষ মাস্ক পরবেন কিনা সেটি তার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
এমনকি তার বিরুদ্ধে রাজনীতির জন্যই কিছু মানুষ মাস্ক পরে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
এতোদিন ধরে ট্রাম্প বলে আসছিলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার কোনও প্রয়োজন নেই।
এমনকি জনসমাগমস্থলেও মাস্ক পরা থেকে বিরত ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি নিজ দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা তাকে অনুরোধ করেন, তিনি যাতে উদাহরণ সৃষ্টির জন্য মাস্ক পরেন। এর একদিন পরই রিপাবলিকান ঘরানার টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজে মাস্ক পরার পক্ষে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মাস্কের পক্ষে।’ তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি মাস্ক পরবেন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যদি মানুষের সঙ্গে ঠাসাঠাসি অবস্থায় থাকি, তাহলে আমি অবশ্যই আমি মাস্ক পরবো।’
যেদিন মাস্ক পরার পক্ষে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন সেদিনটিতে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, মানুষ তাকে অতীতে মাস্ক পরতে দেখেছে এবং জনসমাগমের মধ্যে এটি পরতে তার কোনও সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষজন পরস্পরের কাছ থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, লোকজন যদি মাস্ক পরে ভালো বোধ করে তাহলে তারা পরতে পারে।
ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন ছিল, করোনাভাইরাস একদিন উধাও হয়ে যাবে! এ কথা তিনি এখনও বিশ্বাস করেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি। অবশ্যই, কোন একটা সময় এটা চলে যাবে।’
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৯৮ জনের।