ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
লাদাখ থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈঠকে বসেছিল ভারত-চীন। সীমান্তে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্যই তৃতীয়বারের বৈঠিবে বসেছিল দুই দেশের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
এর আগেও দু’বার একই ইস্যুতে বৈঠকে বসে ফল আসেনি। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে ক্রপ কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে লাদাখ সীমান্তে থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারলেন না ভারত ও চীনের সেনা কর্মকর্তারা।
গতকালই সীমান্তের ওপারে মালডোতে চীনা সেনার ছাউনিতে দুই দেশের ক্রপ কম্যান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক বসে। আগের মতো ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং।
অন্যদিকে চীনের পক্ষ থেকে বৈঠকে বসেছিলেন পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কম্যান্ডার জেনারেল লিউ লিন।
জানা গেছে, ১২ ঘণ্টা বৈঠকের পরেও কোনো সমাধানে আসতে পারেননি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কম্যান্ডাররা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের ‘সীমানা’ পুনর্বিন্যাসের দাবি জানানো হয়। যা মানতে চাননি ভারতীয় কর্মকর্তারা। চীনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের একটা বড় অংশ নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিতে চাচ্ছে। যা ভারতের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।
গতকালের বৈঠকে ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে চীনকে এপ্রিলের আগের স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে, চীনের দাবি তারা গালওয়ান থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করবে না। আবার প্যাংগং থেকে ভারতীয় সেনাকে ২-৩ কিলোমিটার পিছিয়ে আসতে হবে।
যার অর্থ প্যাংগংয়ের কাছে ফিঙ্গার ৪ থেকেও পিছিয়ে আসতে হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। যা ভারতের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। দীর্ঘ আলোচনার পরও নিজেদের দাবিতে অনড় দুই দেশ। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবারের বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সমাধান বের হয়নি। তবে আগামিতেও এ ধরনের আলোচনা চলবে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/ আরএইচ