আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রখ্যাত মানবাতাবাদী ও দানবীর আব্দুল সাত্তার ইদির স্ত্রী বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী বিলকিস বানু ইদি (৭৪) শুক্রবার করাচি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন : ভ্রমণ ভিসায় বিমানবন্দরে হয়রানি নয়
বিলকিস বানু ইদির ছেলে ফয়সাল ইদি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ও ডন।
শনিবার ( ১৬ এপ্রিল) বাদ জোহর করাচি শহরের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সড়কস্থ নিউ মেমন মসজিদে তার জানাজা হয়। এসপ্তাহের শুরুতে বিলকিস বানুর রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে করাচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়।
ইদি ফাউন্ডেশনের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনকে বলেন, বিলকিস বানু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার হৃদরোগ ছিল এবং তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন : ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে পড়বে নগরবাসী
বিলকিস বানু ইদি ছিলেন একজন পেশাদার নার্স এবং তিনি বিলকিস ইদি ফাউন্ডেশনের প্রধান ছিলেন। তিনি ছয় দশক ধরে মানবতার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তার চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজারো এতিম ও ছিন্নমূল শিশুকে আশ্রয় দেয়া হয়।
এসব শিশুদের আশ্রয়ের জন্য সমগ্র পাকিস্তানজুড়ে অনেক বাড়ি ও সেন্টার চালু করেছিল ইদি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন : টেক্সটাইল পণ্য আমদানিকারকরা ঝুঁকছে ভারতে
বিলকিস বানু ইদিকে পাকিস্তানের মা বলা হতো। সারা জীবন ধরে মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। যেমন : হিলাল-ই-ইমতিয়াজ, লেনিন শান্তি পুরস্কার ও মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর সোশ্যাল জাস্টিস (২০১৫)।
আরও পড়ুন : বিজয়কে সুসংহত করাই আজকের দিনের অঙ্গীকার
এছাড়া ১৯৮৬ সালে জনসেবার কারণে তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। অবশ্য এ পুরস্কারটি তিনি তার স্বামী আব্দুল সাত্তার ইদির সাথে যৌথভাবে পেয়েছিলেন। গত বছর তাকে ‘পার্সন অব দ্যা ডিকেড’ বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন