আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে রুশ সামরিক বাহিনীর আক্রমণে বিপর্যস্ত পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির পাশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সামরিক জোট ন্যাটোসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
আরও পড়ুন : শাহবাজ মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছে না পিপিপি
এদিকে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনীয় ওই বিমানটি পশ্চিমা দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্রের চালান বহন করছিল বলেও জানিয়েছে দেশটি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউক্রেনের ওডেসা শহরের বাইরে পশ্চিমা দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্রের চালান বহনকারী ওই সামরিক বিমানে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে বয়সের বিষয় সিদ্ধান্ত হয়েছে
বিবিসি ইউক্রেনের সামরিক বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার বিষয়ে রাশিয়ার এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এছাড়া বিমান ভূপাতিত হওয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।
জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ আরও দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সম্পর্কিত কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিমান ইউনিটগুলো।
গত বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অস্ত্র বোঝাই পরিবহনে হামলার হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া।
আরও পড়ুন : মারিওপোলের পরিস্থিতি ভয়াবহ
মূলত ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতেই এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মস্কো। আর হুঁশিয়ারি উচ্চারণের তিন দিনের মাথায় পশ্চিমা দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্রের চালান বহনকারী ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করল রাশিয়া।
রাশিয়া সেসময় বলেছিল, ইউক্রেন অভিমুখে মার্কিন ও ন্যাটো জোটের পাঠানো অস্ত্রের চালান মস্কোর জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু। রাশিয়া সতর্ক করে সেসময় আরও দাবি করে, রুশ সামরিক বাহিনী পশ্চিমা হুমকির মুখে পড়লে সেটিরও কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের নতুন স্পিকার পারভেজ আশরাফ
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
সান নিউজ/এইচএন