আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের ছেলে হামজা দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে সংঘর্ষের পর পুলিশি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ১৯৭ ভোট পেয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কিউয়ের চৌধুরী পারভেজ এলাহি মাত্র এক ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : বাঙালির ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল স্মরণীয় দিন
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাদেশিক বিধানসভায় পিটিআই ও পিএমএল-এনের এমপিদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) পাঞ্জাবের প্রাদেশিক বিধানসভায় এ হট্টগোল হয়। ফলে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি তার চেম্বারে আশ্রয় গ্রহণ করতেও বাধ্য হন।
শনিবার পাঞ্জাব প্রাদেশিক বিধানসভার অধিবেশন চলার সময় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও পিএমএল-এনের (পাকিস্তান মুসলিম লীগের নওয়াজ গ্রুপ) এমপিরা পরস্পরের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন : হাওরের ধান নষ্ট হলে চালের দাম বাড়বে
এ সময় দু’দলের এমপিরা পরস্পরে বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন এবং পিটিআই সসদস্যরা এ সময় পিএমএল-এনের সদস্যদের দিকে ‘লোটা’ (প্লাস্টিকের বদনা) ছুড়ে মারেন।
ডেপুটি স্পিকার সরদার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি প্রবেশ করলে তার ওপর হামলা করেন পাঞ্জাব প্রাদেশিক বিধানসভার ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা। এ সময় তারা ডেপুটি স্পিকারের ওপর লোটা’ ছুড়ে মারেন এবং তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন।
এমন সময়ে পাঞ্জাব প্রাদেশিক বিধানসভা ডেপুটি স্পিকার সরদার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি তার রক্ষীদের সহযোগিতায় ওই স্থান থেকে চলে যান।
আরও পড়ুন : এবার বরিসের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
এরপর পাঞ্জাব প্রাদেশিক বিধানসভায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু, পিএমএল-কিউ দলের নেতা পারভেজ এলাহির বিরোধীতার কারণে পরে ওই পুলিশ সদস্যরা বিধানসভা থেকে চলে যান।
এদিকে মাজারি আহত হয়ে তার চেম্বারে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় ও বিদেশী সাংবাদিকদের সামনে এলাহি সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, মাজারির সাথে আসা পুলিশই ঝামেলা সৃষ্টি করেছিল।
সান নিউজ/এইচএন