সান নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় প্রবেশে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মস্কো। ইউক্রেন সংকট ঘিরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নেওয়া নজিরবিহীন পদক্ষেপের জবাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবিতে নিখোঁজ ১২
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং আরও ১০ শীর্ষ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মন্ত্রিসভার সদস্য।
মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে হামলার পর দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মস্কো।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের নজিরবিহীন বৈরী পদক্ষেপ, বিশেষ করে রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নেওয়ার পদক্ষেপের পাল্টায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে ব্রিটেনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার এই তালিকা শিগগিরই সম্প্রসারণ করা হবে বলে বিবৃতি হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইউক্রেনের প্রায় তিন হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, দেশটিতে সংঘাতে প্রায় এক হাজার সেনা আহত হয়েছেন। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, এদের মধ্যে কতজনকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
তিনি জানান, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সেনার সংখ্যা ১ হাজার ৩৫১।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ১৯০০ বেসামরিক লোক নিহত
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে