সান নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৯৭ জন শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৩৫১ জন।
আরও পড়ুন: বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যাবো
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রাজধানী কিয়েভের সংলগ্ন শহর বুচা, চেরোনবিল ও পূর্ব ইউক্রেনের শহর ক্রামাতোরস্কে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় হতাহত শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়ছে ইউক্রেনের সরকারি বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে মেগির আঘাতে নিহত ১১৭
বিবৃতিতে বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামাতোরস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেখানে। এছাড়া বুচা শহরে ১০ ও ১৭ বছর বয়সী দুই অপ্রাপ্তবয়স্কের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, চেরোনোবিলে একটি গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবা ও শিশু কন্যার মৃত্যু এবং পশ্চিম ইউরোপের বোরোদিয়ানকা গ্রামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও তার ১০ বছর বয়সী ভাইয়ের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বলা হয়েছে প্রসিকিউটর জেনারেলের বিবৃতিতে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নির্দেশ প্রদানের ২ দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই এলাকা দনেতস্ক ও লুহানস্ককে (দনবাস) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
বুধবার ৪৯তম দিনে পৌঁছেছে রুশ বাহিনীর অভিযান। শুরুর দিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে তৎপরতা চালালেও বর্তমানে মূলত দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলেই মনযোগ দিচ্ছে রুশ বাহিনী। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিউপোলে বুধবার ১ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: এখন আমি ভয়ংকর
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে