সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি রেলস্টেশনে রাশিয়ার রকেট হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। তবে রয়টার্স এ খবর জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে গুলিতে নিহত ২
ইউক্রেনীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছাড়ার সময় শুক্রবার (৮ এপ্রিল) এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনীয় রেলওয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার বোমা হামলা থেকে বাঁচতে মানুষজন ক্রামতোর্স্ক শহর ছাড়ার সময় রেলস্টেশনটিতে জোড়া রকেট হামলা চালানো হয়েছে। পরে তারা জানিয়েছে, ক্রামতোর্স্ক রেলস্টেশনে রকেট হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
তবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের শুরু থেকেই বেসামরিক লোকদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো দাবি করেছেন, রকেট হামলার সময় স্টেশনটিতে কয়েক হাজার মানুষ ছিল। তিনি বলেন, ‘রাশিস্ট’রা (রাশিয়ান ফ্যাসিস্ট) খুব ভালোভাবে জানতো যে, তারা কোথায় নিশানা করছে ও তারা কী চায়। তারা আতঙ্ক ও ভয়ের বীজ বপন করতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়ল
কিরিলেঙ্কো অনলাইনে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন যেখানে স্যুটকেস ও অন্যান্য লাগেজের স্তূপের পাশে বেশ কয়েকটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের পাশে ফ্ল্যাক জ্যাকেট পরা সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অন্য একটি ছবিতে উদ্ধারকারীদের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এদিকে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার মাত্রা ন্যাটো সদস্যদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেবে বলে মনে করেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। পশ্চিমা বন্ধু দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র এবং মস্কোর বিরুদ্ধে বড় নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভ।
আরও পড়ুন: আলজেরিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ৯
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে